এখানে কম্পিউটারের বিভিন্ন মেমরি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হবে।
আগে আমরা দেখি memory কি জিনিস: memory হল storage বা জায়গা। কিসের জায়গা? data বা instructions এর জায়গা যেখানে হিসাব নিকাশের জন্য data বা instructions সংরক্ষিত থাকে। একটু ক্লিয়ার করেন তো। আচ্ছা আমরা তো কম্পিউটারকে দিয়ে বিভিন্ন রকম কাজ করাই। এসব কাজবাজ করার জন্য তো তার নিজের মধ্যে নানা রকম হিসাব নিকাশ processing করতে হয়, যদি তারে হুকুম করি যে একটা গান শোনাও তো, তৎক্ষনাৎ সে জ্বে আজ্ঞে বলে YouTube খুলে সুমধুর কন্ঠে গান শোনাতে শুরু করে! যদি বলি এটা ভালো না অন্য একটা শোনাও সে কিন্তু পারবনা বলেনা এমনকি এক মুহূর্ত দেরিও করেনা (যদি internet connection খুব ভাল কাজ করে আর কি) ঠাস ঠাস করে হুকুম তালিম করতে থাকে। আবার internet connection ভাল কাজ করার দরকার নেই এমনকি থাকারও দরকার নেই শুধু যেটা চাই সেটা আগে থেকে storage এর মধ্যে জমা থাকা দরকার তাইলে আমার বসে বসে হুকুম করতে দেরি হলেও ওর হুকুম পালন করতে দেরি হয়না। তো কম্পিউটার এইযে তথ্য বা information জমা রাখে প্রয়োজনের সময় আমাদের সামনে হাজির করে এগুলো সে কই রাখে? বা YouTube, facebook থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে কোনো পোষ্ট বা ভিডিও আমাদের দেখায় এসব কাজবাজের জন্য তার কিছু জায়গার দরকার হয়, সেসবই বা কোথায় রাখে। এসমস্ত কিছু যে storage বা জায়গার মধ্যে থাকে তাকে কম্পিউটারের Memory বলা হয়। সোজা কথায় Memory হল মানুষের মস্তিষ্কের মত যেখানে data বা information সংরক্ষিত থাকে, পার্থক্য হল মানুষকে কিছু বলতে হলে human readable language দিয়ে বলতে হয় আর কম্পিউটারকে কিছু বলতে হলে computer language দিয়ে বলতে হয়। আর এসব কাজবাজ, প্রসেসিয়ের জন্য কম্পিউটারের Memory দরকার হয়। Memory ছাড়া কম্পিউটার কোনো কাজই করতে পারেনা, কারণ Memory না থাকলে তো কোনো ডেটাই থাকবেনা ( জায়গা না থাকলে থাকবে কোথায়) আর কোনো ডেটাই না থাকলে কাজ করবে কি নিয়ে! তাই Memory কম্পিউটারের একটা অত্যাবশ্যকীয় অংশ।
আচ্ছা এসব ডেটা, ইন্সট্রাকশনদেরকে তো খুব সুসজ্জিত জায়গার মধ্যে রাখলাম কিন্তু শুধু রাখলেই তো হবেনা, তাদেরকে দিয়ে কাজ করাতে হবে, হু এদেরকে পুরোমাত্রায় সদ্ব্যবহার করে নানা রকম স্বার্থ সিদ্ধি করে যে (অবশ্যই ইউজারের আদেশে) তার নাম CPU বা central processing unit সংক্ষেপে processor. ইনি হলেন এখানকার BOSS! তো মেমরির প্যাঁচালে যাওয়ার আগে BOSS সম্পর্কে হালকা ধারনা নেওয়া যাক।
Processor: Processor বা CPU হল কম্পিউটারের মস্তিস্ক, মেমরির বেলায়ও বলেছি Memory হল মানুষের মস্তিষ্কের মত, আসলে আমরা তো মস্তিষ্ক দিয়ে সব কিছু মনে রাখি, আবার দুয়ে দুয়ে চার হয় এই হিসাবও মস্তিষ্ক দিয়ে করি। কম্পিউটারের বেলায় এই দুই ধরনের কাজের জন্য দুই ধরনের parts বা অংগাণু রয়েছে। কোনো কিছু মনে রাখার জন্য রয়েছে মেমরি আর হিসাব নিকাশ, লজিক্যাল কাজবাজের জন্য রয়েছে CPU বা Processor। এর অন্য নাম central processor বা main processor বা microprocessor ইত্যাদি। এটা আলোর মত দ্রুতগতিতে কাজ করে সেকেন্ডে প্রায় মিলিওন খানেক ডেটা ক্যালকুলেশন করে! আর core হল processor এর part বা ভাগ। আজকাল কার কম্পিউটার তো সর্ববিষয়ে মহাপন্ডিত আর এই মহাপন্ডিত একসাথে অনেক কাজ করে। তো একটা মাত্র প্রোসেসর থাকলে বেচারা একা এত চাপ নিতে পারেনা আর কোনরকমে কষ্টমষ্ট করে নিতে পারলেও দেখা যায় যে কাজবাজ অনেক স্লো হয়ে যায়, একসাথে এত কাজ করতে গিয়ে রেগে মেগে আগুন হয়ে যায় অর্থাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং আরো বিভিন্ন রকম সমস্যা হয় তাই ওই processor বাবাজির চাপ কমানোর জন্য তাকে ২টা বা ৪টা বা ৮টা এরকম ভাগ ভাগ করে বসানো হয় এই প্রত্যেকটা ভাগের নামই হল core। নিচের ছবিটি পূর্ণ মনোযোগ সহকারে দেখলে processor এর অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে জানা যাবে।
তো উপরের ছবিতে দেখি processor এর ভিতরে মোটামুটি ভাবে ৩ টা পার্ট দেখা যায়:
১। CU বা Control Unit: এই ইউনিট কম্পিউটারের ভিতরে চলমান সকল রকমের ফাংশন বা CPU এর ভিতরে বা কম্পিউটারের সাথে যুক্ত সকল রকমের ডিভাইসের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রন করে।
২। ALU বা Arithmetic Logic Unit: processor এর যে অংশ সকল রকমের গানিতিক হিসাব নিকাশ ও লজিক্যাল অপারেশন সমপন্ন করে তাকে Arithmetic Logic Unit বা ALU ( নট আলু ইটস A-L-U) বলে।
৩। Memory Unit: ছবিতে দেখতেই পাচ্ছি এখানে খুব হাই স্পিড মেমরি থাকে (register, cache) CPU যাদেরকে ডেটা স্টোর করার জন্য ব্যবহার করে।
এখন দেখি Memory-র প্রকারভেদ: কম্পিউটারের মধ্যে বিভিন্ন রকমের মেমরি থাকে। প্রথমত Memory-কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়
১। Primary বা System Memory
২। Secondary বা Auxiliary Memory
১। Primary বা System Memory: Primary Memory তে ওই সমস্ত ডেটা থাকে যে সমস্ত ডেটা কম্পিউটার চলমান থাকার সময় ব্যবহার করে। এই মেমরি CPU এর সবচেয়ে কাছে থাকে এবং CPU সরাসরি access নিতে পারে অর্থাৎ CPU এর সাথে সংযুক্ত থাকে বলে একে main memory ও বলা হয়। এটা কর্মক্ষম memory অর্থাৎ এটা ছাড়া কম্পিউটার রানই করতে পারেনা। Secondary Memoryর থেকে দ্রুতগতির কিন্তু রেজিষ্টার থেকে ধীরগতির। Primary Memory আবার তিন প্রকার:
a. Cache Memory
b. Volatile বা অস্থায়ী Memory (RAM)
c. non-Volatile বা স্থায়ী Memory (ROM)
আগে Register কে এক পলক দেখে তারপর Memoryতে যাওয়া যাক:
Register: Register হল CPU এর কলিজার টুকরা! CPU এর মধ্যেই অবস্থিত, খুবই ছোট্ট একটা built-in মেমরি এর জায়গা অতি সামান্য কিন্তু ক্ষিপ্রতা অতিরিক্ত মাত্রায় বেশি (access time 1ns)। CPU একে ডেটা প্রসেস, সংরক্ষন ও ট্রান্সফার করার জন্য ব্যবহার করে। CPU তার কার্যাবলি সম্পাদনার সময় ডেটা, ইন্সট্রাকশনের দরকার পড়লে সবার আগে Register কে জিজ্ঞেস করে যে তার কাছে কিনা। Register ও CPU এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে বলে একে main memory বলা যায়। সব ধরনের মেমরির মধ্যে Register হল সবচেয়ে ছোট, সবচেয়ে দ্রুত গতির আর সবচেয়ে ব্যয়বহুল।
a.Cache Memory: Register এর পরে আসে Cache Memory। ইনি হলেন খুবই ছোট (কয়েক kB থেকে কয়েক MB সাইজ মাত্র, Register থেকে কিছু বড়) কিন্তু অত্যাধিক উচ্চগতি সম্পন্ন (Register থেকে কিছুটা নিম্নগতির) ঘটক টাইপের মেমরি। ঘটক মানে হল ইনি RAM আর CPU এর মধ্যে ঘটকালি করে সেতুবন্ধন করেন। CPU এর খুব কাছে থাকেন এবং main memory বা RAM থেকে data বা instructions আদান-প্রদানে বিজি থাকেন। এতে CPU এর কাজবাজের টাইম ও এনার্জি কমে। নিচের ছবিটি দেখলে ব্যপারটা আরো ক্লিয়ার হতে পারে:
এখানে ভাত ভর্তি পাতিল হল হার্ডড্রাইভ যেখানে ডেটা স্থায়ী ভাবে জমা থাকে। সেখান থেকে নিচের ভদ্রলোকটি যততটুকু ভাত এখনই খাবেন (অর্থাৎ যতটুকু ডেটা ব্যবহার করা হবে) অতটুকু ভাত প্লেটে তুলেছেন (এখানে প্লেট হল RAM বা অস্থায়ী মেমরি) এখন যে চামচটি ব্যবহার করে খাবার গুলোকে processing এর জন্য তাঁর CPU এর মধ্যে পাঠাচ্ছেন এই চামচটি হল Cache বা ক্যাশ মেমরি এখানে জায়গা অনেক কম কিন্তু কাজ করে খুব দ্রুত, ধাই ধাই করে data বা instruction গুলো সব CPU এর মধ্যে পাঠায়।
ক্যাশ মেমরির আবার কতগুলো লেভেল আছে (ক্যাশ বলে কথা একটা লেভেল তো থাকবেই না হলে কি আর মান সম্মান থাকে) যেমন,
1. Level 1 : CPU তার প্রয়োজনীয় ডেটা Register এ না পেলে L1 বা Level 1 Cache এর কাছে খুঁজে। ইনিও processor এর একেবারেই কাছাকাছি থাকেন। এর সাইজও ছোটো কিন্তু Register থেকে কিঞ্চিত বেশি, আবার ইনিও খুবই ক্ষিপ্রগতির তবে Register থেকে বেশি না। আর সাইজের কথা কি বলব, মাত্র ৫০-৬০kB-র রোগা পটকা শরীর নিয়ে 1ns (ন্যানোসেকেন্ড) বেগে দৌড়ায়! (কম্পিউটার ভেদে সাইজ কিছুটা কমবেশি হতে পারে)
2. Level 2 : Level 1 এর পর আসে Level 2. ইনার ক্ষিপ্রতা মানে access time 4ns। এটাও processor এর কাছে অবস্থিত। এর সাইজ Level 1 থেকে কিছুটা বড় এবং Level 1 থেকে কিছুটা ধীরগতিরও। CPU তার প্রয়োজনীয় ডেটা L1 Cache এ না পেলে L2 Cache এর কাছে খুঁজতে আসে।
3. Level 3 : এটা L1 আর L2 থেকে কিছুটা বড় মানে জায়গা বেশি কিন্তু ধীরগতির। কিন্তু RAM এর থেকে এর গতি বহুগুন বেশি। ইনার access time ১০০ ন্যানোসেকেন্ড! processor এর প্রত্যেকটা core এর জন্য আলাদা আলাদা L1 ও L2 Cache memory থাকে কিন্তু L3 এর বেলায় সবাই একটা L3 cache memory শেয়ার করে চলে। এবং CPU তার প্রয়োজনীয় ডেটা L2 Cache এ না পেলে L3 Cache এর কাছে খুঁজে।
b. Volatile বা অস্থায়ী Memory (RAM): CPU, RAM এর প্রত্যেকটা cell memory তে randomly access নিতে পারে বলে এর নাম RAM বা Random Access Memory। এটা শুধু মাত্র কম্পিউটার চলমান থাকার সময়ই ডেটা, program এবং program এর ফলাফল store করে অর্থাৎ এখানে ডেটা অস্থায়ী ভাবে থাকে যা Computer বন্ধ করার পরে মুছে যায় বা হারিয়ে যায় এজন্য একে Volatile বা অস্থায়ী বা temporary Memory বলা হয়। তারমানে volatile এতই বোকা যে পাওযার অফ হওয়ার সাথে সাথেই সব ভুলে যায়! অর্থাৎ কম্পিউটার যতক্ষন সচল থাকে বা এর পাওয়ার অন থাকে ততক্ষন এর RAM ও সচল থাকে। এ সকল মেমরি থেকে ডেটা পড়াও যায় আবার লেখাও যায় অর্থাৎ edit করা যায় আর কি। এজন্য একে read-write memory বলা হয়। এটা তুলনামুলক ভাবে দ্রুত কাজ করে (access time 1600ns) ঠিকি কিন্তু এখানে জায়গাও কম থাকে আবার দামও বেশি। সাধারনত কম্পিউটার গুলোতে ৪জিবি RAM থাকে, হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার গুলোতে ৮ জিবি RAM ও থাকে, আজকাল আবার ১৬জিবি RAM এর কম্পিউটারও পাওয়া যায়! আবার কম্পিউটারের ক্যাপাসিটি বুঝে RAM বাড়িয়ে কমিয়েও নেয়া যায় (সবাই অবশ্য বাড়িয়েই নেয় কেউ কমায় না)। CPU তার প্রয়োজনীয় ডেটা Register এবং Cache memory তে না পেলে RAM এর কাছে খুঁজতে আসে।
i. SRAM বা Static Random Access Memory: Static শব্দের অর্থ হল স্থির বা অপরিবর্তনীয়। অর্থাৎ যতক্ষন কম্পিউটার সচল থাকে ততক্ষন সে নিজ কার্জে অবিচল থাকে কিন্তু ড্রামের মত (DRAM এর মত) নিজেকে বারবার রিফ্রেশ করেনা। SRAM বা Static Random Access Memory ও দ্রুতগতির মেমরি যার কার্যাবলির জন্য power supply অত্যাবশ্যকীয় power off হইলে ইনার সমস্ত অতীত কার্যাবলী ধূলিস্মাৎ হইয়া যায় জন্য ইনি volatile memory নামে সুপরিচিত (ওই RAM এর মতই আর কি)। অর্থাৎ ইনি ইনার কর্মকান্ডের কোনো প্রমান রাখিতে চাহেননা! SRAM কে register, cache memory এবং আরো ছোট ছোট memory bank হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
ii. DRAM বা Dynamic Random Access Memory: Dynamic অর্থ গতিশীল অর্থাৎ ইনি ইনার ডেটা, প্রোগ্রাম কার্যাবলিকে মেইনটেইন করার জন্য নিজেকে বারংবার রিফ্রেশ করতে থাকেন। আমরা সাধারনত RAM বলতে যাঁকে চিনি তিনি হলেন DRAM (ডি-RAM not ড্রাম)। সকল DRAM সাধারনত একটি capacitor এবং একটি transistor সমন্বিত memory cell দিয়ে নির্মিত। সকল মেমরিই ছোট ছোট কুঠুরির মতো অংশ নিয়ে গঠিত এদেরকে memory cell বলা হয় আর capacitor, transistor এসব নিয়ে এখানে এখন আলোচনা হল নাহ। DRAM আবার SDRAM, RDRAM, DDR SDRAM ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের আছে। এদের মধ্যে আবার DDR SDRAM সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। ইনাকে আবার DDR, DDR2, DDR3, DDR4 ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।
c. non-Volatile বা স্থায়ী Memory (ROM): ROM বা Read Only Memory হল এমন memory যেখানে থেকে ডেটা শুধু পড়াই যায় লেখা যায়না অর্থাৎ কম্পিউটার তৈরির সময় যে সমস্ত ডিভাইসে ডেটা রেখে একবারে সিল্ড করে দেয়া হয় পরে আর সেটাকে edit করা যায়না বা পরিবর্তন করা যায়না তাদেরকে ROM বা Read Only Memory বলা হয়। তার মানে কম্পিউটার তৈরির সময় builder ওর কানে ফুস মন্তর দিয়ে দেয় যে তুই শুধু আমার কথাই শুনবি তোর মালিকের (যার কম্পিউটার) কথায় কান দিবিনা খবরদার কইছি!! সাধারনত যেসব software পরিবর্তিত হয়না বা update করার দরকার হয়না অথবা হলেও খুব কমই হয় সেগুলো ROM এর মধ্যে রাখা হয়। এটা non-volatile বা permanent memory অর্থাৎ এখানে ডেটা স্থায়ী ভাবে সংরক্ষিত থাকে বলে Computer বন্ধ করার পরেও সেগুলো মুছে যায় না বা হারায় না। কম্পিউটার বা যেকোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে ROM ব্যবহার করা হয়। এটা অপেক্ষাকৃত ধীরগতির হলেও সুলভ মূল্যে বেশি জায়গা কিনতে পাওয়া যায়। ROM এর আবার কিছু প্রকার আছে।যেমন:
i. PROM বা Programmable Read Only Memory: এটা একধরনের Read Only Memory যেখানে ডেটা permanent বা স্থায়ীভাবে রাখা হয় কিন্তু তবু এরা সমগ্র জীবনে একবার মাত্র ডেটা এডিট করতে পারে। digital electronic device এ permanent বা স্থায়ী ডেটা রাখার জন্য PROM ব্যবহার করা হয়।
ii. EPROM বা Erasable Programmable Read Only Memory: এটা একধরনের Programmable Read Only Memory এটাও কম্পিউটারের power অফ হয়ে গেলেও ডেটা ধরে রাখে এবং power অন হওয়ার পর আবার সেটাকে পুনরুদ্ধার করে দেয়। এখানে ডেটা একবার প্রোগ্রামড করলে খুব শক্তিশালী আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দিয়ে সেটা erase করা যায় বা মুছে ফেলা যায় বলে একে Erasable Programmable Read Only Memory বলা হয়।
iii. EEPROM বা Electrically Erasable Programmable Read Only Memory: এটাও একধরনের non-volatile memory কিন্তু এটা Electrically Erasable অর্থাৎ এখানে ইলেক্ট্রিক সিগনাল দিয়ে ডেটা erase করে বা মুছে ফেলে আবার reprogram করা যায় তবে সেটার একটা limited life time থাকে।
এছাড়া আরো বিভিন্ন রকমের ROM হতে পারে। যেসমস্ত ডিভাইসে ডেটা read only করে রাখা হয় যেন পরে আর edit করা না যায় বা পরিবর্তন করা না যায় বৈশিষ্টের দিক দিয়ে তারা সবাই ROM যেমন: CD-ROM, DVD-ROM, Pendrive এর মধ্যেও read only করে ডেটা রাখা যায়। ROM এর স্লোগান হতে পারে এরকম:
“লিখ একবার পড় বারবার”
** এসব নিয়ে অনেক অনেক জানার আছে অনেক অনেক information আছে অনেক অনেক resource ও আছে, এখানে কর্তৃপক্ষ সীমিত আকারে একেবারে basic তথ্যগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করতেছে।
২। Secondary Memory বা auxiliary Memory: কম্পিউটারের external memory যার সাথে CPU সরাসরি access নিতে পারে না অর্থাৎ CPU এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে না বলে এই memory ছাড়া কম্পিউটার চলতে পারে বা run করতে পারে। Primary Memory থেকে ধীরগতির কিন্তু এখানে ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে জন্য একে backup memory ও বলা হয়। এটাও non-Volatile মেমরি অর্থাৎ কম্পিউটার বন্ধ করলেও এখানে ডেটা স্থায়ী ভাবে সংরক্ষিত থাকে যদি না ইউজার (স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায়) নিজে থেকে ডিলিট করে ফেলে! প্রাইমারি মেমরির তুলনায় ইহার ধারন ক্ষমতা বহুগুন বেশি কিন্তু ইহার গতি কচ্ছপের গতির সমতুল অর্থাৎ প্রাইমারির তুলনায় খুউউউউউবোইই ধীরগতির। CPU তার প্রয়োজনীয় ডেটা Register, Cache memory এবং RAM এ খুঁজে খুঁজে কোত্থাও না পেলে হতাশ হয়ে শেষটাই বেচারা Secondary Memory-র কাছে খুঁজে!!
এখন খুব সংক্ষেপে Secondary Memory গুলো দেখে নিই:
a. Magnetic Sorage Based:
i. Hard drive/ HDD: সাধারন ভাবে কম্পিউটারের storage বলতে আমরা এই Hard drive কেই বুঝি। কম্পিউটারের মধ্যে যে ফাইল ক্রিয়েট করি, কোড লিখে বা কোনো ড্রয়িং করে সেভ করি, কোনো গান বা কবিতা ভাল লাগলে ডাউনলোড করে রাখি তার সবই এই Hard drive এ জমা হয়। এমনকি কম্পিউটারের মূল চালিকা যে অপারেটিং সিস্টেম তাকেও এই হার্ড ড্রাইভেই রাখা হয় (কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য চাইলে এই SSD তেও রাখা যায়) এই মেমরি দামে খুবই সস্তা এবং কম্পিউটারে থাকেও অনেক বেশি পরিমানে (সাধারনত ১ টেরাবাইট!! থাকে এবং এর দাম ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা) এর কিছু ফিজিক্যাল ঘূর্ণনক্ষম পার্ট থাকে যেগুলো খুব দ্রুত গতিতে ঘুরে ম্যাগনেটিজমের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান করে। এর access time 4000000ns অর্থাৎ যথেষ্ট মাত্রায় স্লো।
ii. Floppy Disk/FDD: এটা একটা আয়তাকার প্লাষ্টিকে মোড়ানো খুবই পাতলা এবং ফ্লেক্সিবল একটা মানধাত্তার আমলের স্টোরেজ মিডিয়াম, ১৯৬০ সালের দিকে তৈরি হলেও ১৯৭১ এর দিকে বানিজ্যিক প্রচলন শুরু হয় কিন্তু খুব বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে পারেনি। পারবে কিভাবে 51⁄4 ইঞ্চির একটা ডিস্কে যদি 360 KB থেকে 1.2 MB জায়গা থাকে তাহলে সে কেমন করে ইউজারের মন জয় করবে!!
b. Semiconductor based:
i. SSD : SSD হল solid-state drive এর সংক্ষিপ্ত রুপ, একে অবশ্য solid-state device ও বলা হয়। এটাও একটা non-volatile secondary memory যা ইলেক্টিক সার্কিটের মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফার করে, Hard drive বা HDD এর মত কাজ করে কিন্তু HDD এর তুলনায় ছোট কিন্তু বহুগুন দ্রুত কাজ করে (RAM এর থেকে কম গতির)। HDD এর কিছু ফিজিক্যাল পার্ট থাকে যার কারনে ডেটা আদান প্রদানের সময় শব্দ হয়, কম্পন হয় এবং তাপমাত্রা বেড়ে যায় বলে ফিজিক্যাল ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু SSD তে ইলেক্ট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফার হয় জন্য এধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত। আচ্ছা তাহলে তো আমরা Hard drive এর বদলে SSDই ব্যাবহার করতে পারি। যদিও বর্তমানের high configuration এর কম্পিউটার গুলোতে SSDই ব্যাবহার করা হয় কিন্তু তবুও একটা সমস্যা আছে, সমস্যাটা হল SSD এর আকাশচুম্বি দাম। যেখানে 1TB Hard drive এর দাম ৫-৭ হাজার টাকা সেখানে 1TB SSD এর দাম ৩০-৩৫ হাজার টাকা!!
ii. Flash Drive:
c. Optical Storage Based:
i. DVD: DVD হল Digital Video Disc বা Digital Versatile Disc।
ii. CD বা compact disc :
iii. HVD
iv. BRD
d. Flash Memory:
i. Memory Card: আজকালকার দুনিয়ায় এই জিনিস চিনিনা এমন আদমি নেই বললেই চলে। এটাও একটা electronic ডেটা স্টোরেজ ডিভাইস। আসলে আমরা সাধারনত মোবাইল ফোনে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে রাখি, গান, ভিডিও, গেম এসব যে Memory Card এ রাখি এটা সেই Memory Card। মোবাইল, ডিজিটাল ক্যামেরা, ল্যাপটপ কম্পিউটার, ট্যাবলেট, ইলেক্ট্রনিক কিবোর্ড, ডিজিটাল পিয়ানো এসবে সাধারনত Memory Card ব্যাবহার করা হয়।
ii. Pendrive: এই জিনিসও আমরা সবাই চিনি। সাধারনত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বা মোবাইল থেকে কম্পিউটারে বা কম্পিউটার থেকে মোবাইলে তথ্য আদান প্রদানের জন্য আমরা Pendrive ব্যাবহার করে থাকি।
এখন দেখি Graphics Processing Unit বা GPU কি : ছোটোবেলায় যখন খুব ছোট ছিলাম আমাদের বাড়ি ফিলিপসের ১৪ইঞ্চি (সম্ভবত) সাদাকালো একটা টেলিভিসন ছিলো। তখন আবার মুভি হত সপ্তাহে একদিন! শুক্রবার, বিটিভিতে!! তো সারা সপ্তাহ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা শেষে সবাই (পাড়ার ম্যাক্সিমাম নারী ও শিশু) যথা দিনের যথা সময়ে হাজির হত মুভি (তখনকার সিনেমা) দেখার জন্য। আমি ছিলাম বাড়ির ছোট অর্থাৎ বাড়ির অঘোষিত বেতনবিহীন চাকর। তখনকার টেলিভিসন তারের মাধ্যমে এনটেনার সাথে সংযুক্ত থাকত। সেই এনটেনা আবার বাশের সাথে বেধে (উঁচু করার জন্য) ছাদে বা বাড়ির উচু কোনো জায়গায় আকাশের দিকে মুখ করে রাখা হত। আসলে ওই এনটেনা রেডিও ওয়েভ সংগ্রহ করে তারের মাধ্যমে টেলিভিসনে পাঠাত আর তাতে ছবি ভাল আসত। তো মাঝে মাঝে বাতাসে এনটেনা নড়লেই ছবি চলে যেত অথবা ঝির ঝির করত আর সেটা ঠিক করার দায়িত্ব পড়ত আমার ঘাড়ে। সবাই আমার দিকে এমনভাবে তাকাত যেন আমি শুধুমাত্র ওই দায়িত্ব পালনের জন্যই দুনিয়াতে আসছি। তো অনিচ্ছা সত্বেও আমাকে যাওয়াই লাগত নড়ে যাওয়া এনটেনা ঠিক করার জন্য। আর দিনে এই ঘটনা যে কতবার ঘটত!!
মোরাল অফ দা স্টোরি হল তখনকার আমলে ছবি একটু ক্লিয়ার দেখার জন্য এত কষ্ট করা লাগত। আর এখনকার আমলে একটা গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করলেই সুন্দর সুন্দর কিলিয়ার কিলিয়ার রঙ্গীন রঙ্গীন পিকচার দেখা যায়! (প্রযুক্তির কি ক্যালমা!!)
তো GPU বা Graphics Processing Unit হল ইলেক্ট্রনিক সার্কিট যা গেম, ভিডিও, ইমেজ বা পিকচার ইত্যাদি খুব সুনিপুন ভাবে আমাদের দৃষ্টিগোচর করে। আসলে GPU এর আগমনই ঘটেছে যেন সে স্বাধীনভাবে শুধুমাত্র বিভিন্ন ভিডিও, ইমেজ ইত্যাদিকে খুব সূক্ষ ভাবে দেখাতে পারে। এতে কিছু স্পেশাল প্যারালাল স্ট্রাকচার থাকে যা ভিডিও বা পিকচারের কোথায় কোন কালার কিভাবে দেখাতে হবে তা CPU এর থেকেও খুব সূক্ষ ভাবে দেখাতে পারে। সহজ কথায় GPU হল আমাদের চোখের মত। আমাদের চোখ যেমন উপরের ছবিটি দেখলে কোথায় কেমন কালার, কোথায় হালকা নীল বা টকটকে লাল সব খুব সূক্ষ ভাবে দেখতে সাহায্য করে, GPU ও ঠিক এই কাজটাই করে।
তো এই হল আজকের সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
Woww… Lots of details in brief